মিটারের ছোট্ট লাল বাতিটির জন্য প্রতি মাসে অতিরিক্ত বিল আসে

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি উন্নয়নশীল দেশেই সাধারণ গ্রাহকদের টুপি পরিয়ে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো! কীভাবে এই অতিরিক্ত আয় করছে তারা তা জানলে আপনি চমকে উঠবেন। এমনকি ভিরমিও খেতে পারেন। কারণ আপনারই মিটারে একটা অতিরিক্ত লাল আলো লাগিয়ে দিয়ে এই বিপুল টাকা আয় করছে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার আছে। সেই মিটারের দিকে কখনও খুব মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন। তাহলে অবশ্যই আপনার নজরে পড়ে থাকবে একটি ছোট্ট লাল আলো জ্বলছে। দিনের বেলায় হয়তো আপনি ভালো করে বুঝতে পারছেন না।

কিন্তু সন্ধের অন্ধকার নামলেই আপনার বাড়ির স্মার্ট মিটারের সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন। তখন স্পষ্ট বুঝতে পারবেন একটি ছোট্ট লাল আলো জ্বলছে। এটি দেখে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, হঠাৎ মিটারের মধ্যে এই আলো দেওয়া হয়েছে কেন?

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি বলছে, আপনার মিটারটি যে চালু আছে, তা কাজ করছে সেটার পরিচয় হল এই লাল আলোটি। কোন‌ও স্মার্ট মিটার সঠিকভাবে চলা মানে এই লাল আলোটি জ্বলবে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে মিটারে কোন‌ও সমস্যা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু এই ছোট্ট লাল আলো জলার জন্য‌ও বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর তা আপনার বিল থেকেই আদায় করে কোম্পানিগুলো।

বিশেষজ্ঞদের হিসেব বলছে, মিটারের ওই লাল আলোর জন্য মাসে ১ ইউনিটের মতো বিদ্যুৎ খরচ হয়। যার গড়পড়তা দাম ৮ টাকার আশেপাশে। এই সামান্য টাকার জন্য বিশেষ চিন্তিত হওয়ার কিছু হয়তো নেই। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো আপনার গোটা অ্যাপার্টমেন্টে বা পাড়ায় ঠিক এইরকম কত বিদ্যুতের মিটার আছে? তাদের সবার বাড়ি থেকে যদি ৮ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করে বিদ্যুৎ সংস্থা তবে কত টাকা হয়!

আরও বিস্ময়কর বিষয় কি জানেন? শুধু আপনার পাড়া নয়, একটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার অধীনে কয়েক লক্ষ থেকে কয়েক কোটি গ্রাহক থাকে। অর্থাৎ এইভাবে অতিরিক্ত ৮ টাকা প্রত্যেক গ্রাহকের থেকে তারা নিয়ে থাকে।

এইভাবে প্রতি মাসে অতিরিক্ত কয়েক কোটি টাকা আয় করে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো। অথচ এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ গ্রাহক স্বেচ্ছায় করে না। সেটা তার কোন‌ও কাজে না লাগা সত্ত্বেও তারা বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে ওই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে।

বাড়িতে বিদ্যুতের খরচ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর উপায়

করোনা আবহে ঘরবন্দি জীবনযাপনে এসেছে একাধিক পরিবর্তন। আয় না বাড়লেও, দিনের পর দিন বাড়ছে খরচ। মাসিক আয়ের একটা বড় অংশ খরচ হয়ে যায় বৈদ্যুতিক বিল দিতে যেয়ে।

ঘরবন্দি জীবনযাপনে আরও যেন বেড়েছে বিদ্যুতের খরচ। বেশি সমস্যা মধ্যবিত্তদের। কিন্তু জীবনধারায় খানিকটা পরিবর্তন আনলে বিদ্যুতের খরচ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারেন, জানেন কিভাবে?

জেনে নিন-
১. এসির ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন। ২৫ ডিগ্রির বেশি কখনই এসি অন রাখবেন না। যে ঘরে এসি চলছে, সেই ঘরে ফ্রিজ, ওটিজি রাখবেন না।

২. একসঙ্গে অনেক কাপড় ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে দিন। এতেও খানিকটা সাশ্রয় হয়।

৩. পুরনো ফিলামেন্টের বাল্বের পরিবর্তে এলইডি ব্যবহার করুন।

৪. টিভি বন্ধ করার সময় রিমোট দিয়ে স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় রাখবেন না। বিদ্যুতের খরচ কমাতে প্লাগের সুইচ বন্ধ করে রাখবেন।

৫. ফোনে চার্জ দেওয়া হয়ে গেলে প্লাগের সুইচ বন্ধ করে রাখুন। অল্প হলেও, বিদ্যুতের অপচয় রুখতে পারেন এভাবেও।

৬. রান্না করা গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন না। ফ্রিজের দরজা অনেকক্ষণ খুলে রাখবেন না। তাহলে বিদ্যুত কম খরচ হবে।

আরও পড়ুন : বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হলে করণীয়

বিদ্যুৎ সম্পর্কিত আরও পোষ্ট পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

Share This